একটি বাতিকে পৃথকভাবে দুটি পয়েন্ট থেকে নিয়ন্ত্রণ করার ওয়্যারিং সার্কিট ।

যে সকল ক্ষেত্রে একটি লোডকে একাধিক জায়গা থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় সে সকল ক্ষেত্রে বিশেষ ধরনের সার্কিট ব্যবহৃত হয়। যেমন : সিঁড়িঘরে ধরনের বর্তনী বিশেষভাবে ব্যবহৃত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ ধরা যেতে পারে যে, হয়ত একটি লোক বাহির থেকে এসে ৪র্থ তলায় যাবে। যদি সিঁড়িঘরের বাতিগুলো নেভানো থাকে তবে নিচ তলাতেই সুইচ অন করলে সকল ফ্লোরের লাইটই জ্বলবে। যখন সে নিজ ফ্লোরে ঢুকার পূর্বে তার নিজস্ব ফ্লোরের সুইচটি অপারেট করবে তখন সকল ফ্লোরের লাইটগুলোই নিভে যাবে। এমনিভাবে যে কোন জায়গা থেকে সকল ফ্লোরের সকল লাইটগুলো প্রয়োজনে "ON" বা "OFF করা যাবে

যা শিখতে পারবো....

১। একটি বাতি বা একসেট বাতিকে কীভাবে বিভিন্ন জায়গা থেকে একসাথে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তার সার্কিট সম্পর্কে ধারণা লাভ।

২। বাস্তবে সার্কিট তৈরি করে কাজটির সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করা।

 

দুটি জায়গা থেকে একটি বাতিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য দুটি SPDT বা DPST বা 3-way সুইচ প্রয়োজন হয়। SPDT সুইচের সংযোগ দিক পরিবর্তন করা হলেই তা DPST সুইচ হিসেবে কাজ করে। দুই এর অধিক জায়গা থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে দুই প্রান্তে দুটি এবং মধ্যেরগুলো DPDT সুইচ বা ইন্টারমিডিয়েট সুইচ বা 4 way সুইচ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

 

প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি মালামাল

১। ইনক্যান্ডেসেন্ট ল্যাম্প ( 230V 100W)

২। ব্যাটেন হোল্ডার (230V, 5A)

৩। চ্যানেল "

৪। SPDT টাম্বলার সুইচ ( 230V, 5A )

৫। প্লাস্টিকের স্কয়ার বক্স 3’’

৬। প্লাস্টিকের সিঙ্গেল সুইচবোর্ড,

৭। পিভিসি তার 3/0.029 single.

৮। ইনসুলেটিং টেপ,

৯। ইলেকট্রিশিয়ানস নাইফ,

১০। নিয়ন টেস্টার

১১। বলপিন হ্যামার..

১২। কানেকটিং স্ক্রু-ড্রাইভার..

১৩। স্ট্যান্ডার্ড ফ্লু-ড্রাইভার (মাইনাস বা ফ্ল্যাট):

১৪ উডেন জু 1/2" এবং 3/4"

 

কাজের ধাপ....

১। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি মালামাল সংগ্রহ করে সার্কিট ডায়াগ্রাম অনুযায়ী সংযোগ দেয়ার জন্য সর্বপ্রথম সুইচবোর্ড এবং লোডসমূহের অবস্থান চিহ্নিত করতে হবে অর্থাৎ কোথায় কোনটি বসবে তা নির্বাচন করে চক বা মার্কার দ্বারা চিহ্নিত করতে হবে।

২। চিহ্নিত স্থানগুলোতে সুইচবোর্ড বা লোড পয়েন্টের বেসগুলো বসাতে হবে।

৩। এখন যে সকল বিন্দুদ্বয়ের মধ্যে ক্যাবল সংযোগ হবে তাদের মধ্যে চ্যানেল বসাতে হবে।

৪। সার্কিট অনুযায়ী চ্যানেলের মাধ্যমে সুইচবোর্ড থেকে লোড পর্যন্ত প্রয়োজনীয় ক্যাবল বসিয়ে উভয় প্রান্তে প্রায় চার ইঞ্চি।পরিমাণ তার বেশি রাখতে হবে সংযোগের সুবিধার্থে।

৫। এবার লোড পয়েন্টে প্রয়োজনীয় হোল্ডার বা আউটলেট বা সিলিং রোজ সংযুক্ত করতে হবে সুইচবোর্ডের উপর সুইচ বসিয়ে সংযোগক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে, যার মধ্যে সরবরাহ ব্যবস্থাও থাকবে।

৬। সার্কিটে সরবরাহ দেয়ার আগে চেক করতে হবে।

৭। সরবরাহ উৎস থেকে সংযোগ দিয়ে পৃথক পৃথকভাবে লোড চালিয়ে জবটির কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হবে।

 

 সাবধানতা

১। প্রথমেই সুইচবোর্ড লোড পয়েন্টের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।

২। ইনসুলেশন কাটার জন্য সুনির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করতে হবে যেন তারে দাগ না পড়ে বা ভেঙে না যায়।

৩। সুইচ বোর্ডে সুইচ লাগানো লোড পয়েন্টের লোড লাগানোর সুবিধার্থে প্রায় চার ইঞ্চি করে অতিরিক্ত তার রাখতে হবে, যা পরবর্তীতে সুইচবোর্ডের ভিতর ঢুকিয়ে রাখা যাবে।

৪। একাধিক লোডের নিউট্রালকে কমনভাবে ব্যবহার না করে লুপ-ইন মেথডে সংযোগ করাই উত্তম।

৫। হোল্ডারের ভিতর সংযোগ বিন্দুতে ইনসুলেশন বিহীন অবস্থায় যেন তার না থাকে তা লক্ষ রাখতে হবে, কেননা এরূপ হলে শর্ট সার্কিট ঘটতে পারে।

৬। হোল্ডারের ভিতর তার ঢুকালে যেন তা সীমিত থাকে, কেননা অধিক লম্বা তার ঢুকালে বাল্ব এর সংযোগ বিন্দুতে মুভিং পয়েন্টটি শক্ত হয়ে থাকবে ফলে বাল্ব লাগানো যাবে না।

৭। সার্কিট চেক করে অতঃপর সরবরাহ দিতে হবে।