রেজিস্টর কি | রেজিস্টর কিভাবে কাজ | Resistor Work Bangla | Bangla Electrical Book

রেজিস্টর কি | রেজিস্টর কিভাবে কাজ | Resistor Work Bangla | Bangla Electrical Book

রেজিস্টর কি

সার্কিটে কারেন্ট প্রবাহকে সীমিত  রাখার জন্য এবং কারেন্ট প্রবাহের পথে বাধা দেয়ার  জন্য যে উপাদান ব্যবহার করা হয় তাকে রেজিস্টর বা রোধক বলে।

রেজিস্টর সাধারনত দুই প্রকার

১.ফিক্সড রেজিস্টর
২.ভেরিয়েবল রেজিস্টর


ফিক্সড রেজিস্টর

যে রেজিস্টর এর মান ফিক্সড থাকে বা যে রেজিস্টরের মান তৈরির সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয় এবং যার মান পরিবর্তন করা সম্ভব না তাকে ফিক্সড বা অপরিবর্তনশীল রেজিস্টর বলা হয়ে থাকে।


*কার্বন কম্পোজিট
*কার্বন পাইল
*কার্বন ফিল্ম
*প্রিন্টেড কার্বন
*থিক এবং ফিল্ম
*মেটাল ফিল্ড
*মেটাল অক্সাইড ফিল্ড
*ওয়্যার উন্ড
*ফয়েল

ভেরিয়েবল রেজিস্টর

যে রেজিস্টরের মান প্রয়োজন অনুসারে কমানো-বাড়ানো সম্ভব তাকে ভেরিয়েবল রেজস্টর বা পরিবর্তনশীল রেজিস্টর বলে।


*এডজাস্টেবল
*পটেনশিওমিটার
*রেজিস্ট্যান্স ডিকেড বক্স


রেজিস্টর কিভাবে কাজ

যে সার্কিটে কারেন্ট প্রবাহ বাধা প্রধান করা বা ভোল্টেজ ড্রপ ঘটানো রেজিস্টরের প্রধান কাজ। এখন প্রশ্ন আসতে পারে কেন সার্কিটে বা কোন পার্টসকে কম ভোল্ট বা কারেন্ট প্রবাহে বাধা প্রধান করার প্রয়োজন পরে।

তাহলে একটি উদাহরন এর মাধ্যমে বলি, ধরুন একটা সার্কিটে এল ই ডি আছে ( লাইট ইমেটিং ডায়োড ) যার ভোল্টেজ রেঞ্জ ১.৫ থেকে ৩ ভোল্ট। কোন কারনে যদি সোর্স ভোল্টেজ ৩ ভোল্টের বেশি চলে আসে তখন কম্পোনেন্ট (এল ই ডি ) টি নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

এটি যাতে না ঘটে সে জন্য রেজিস্টর ব্যবহার করা হয়। রেজিস্টর এল ই ডি ক্ষেত্রে ৩ ভোল্টের বেশি ভোল্টেজ কে ড্রপ করে দিবে। রেজিস্টর প্রয়োজন মোতাবেক কারেন্ট ও ভোল্টেজ সরবরাহ করে থাকে।


রেজিস্টর কালার কোড গুলো



 টলারেন্স ব্যান্ড বলতে কি বোঝায়

কোন রেজিস্টরের শেষ কালার বা ব্যান্ডকে টলারেন্স ব্যান্ড বলে। যা রেজিস্টরের মানের ভারসম্য রক্ষা করে।